সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন | খুব সহজে জেনে নিন

পৃথিবীর প্রায় সবাই সুন্দর কিছু দেখে এবং সুন্দর কিছু দেখার আকর্ষন থাকে। এমনকি কোন দেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জায়গা রয়েছে তা খুজতে থকে। মানুষ সৌন্দর্য জায়গা খুজে খুজে দেখার জন্য চলে যায়। মানুষ অপসর সময় পেলে ঘুরতে চলে যায় তার প্রিয় জনকে নিয়ে। আপনারা খোঁজা খুজি না করে জেনে রাখুন। সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে নিন।

পৃথিবীতে অনেক সুন্দর দেশ রয়েছে। তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। আমাদের দেশ নদীর দেশ। আমদের দেশ সুবজ শ্যামল প্রাকৃতিক দেশ।

বাংলাদেশে অনেক সৌন্দর্যের জায়গা রয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ সৌন্দর্যের জায়গা গুলো ভিজিট করতে যায়। কেউ কেউ প্রিয় জনকে নিয়ে আনন্দ করার জন্য ঘুরতে যায়। আবার বিশেষ করে নতুন বউ জামাই হানিমুন করার জন্য, সৌন্দর্যের জায়গায় ঘুরতে যায়।

সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন

আমাদের দেশের অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সুন্দর হলো সিলেট। সিলেট একদিকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অন্য দিকে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি। সেই সাথে বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের এই বিভাগটি।

সিলেটের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস,  আছে চা বাগান, আছে পাহাড়, টিলা, নদী। সিলেটের হাওরগুলিতে এক সময় দেখা মিলত নানা বিরল প্রজাতির মাছ। সিলেট বিভাগ এর পুরো সৌন্দর্য নিয়ে লিখতে আমার পক্ষে অসম্ভব। কারণ সিলেট বিভাগে অসংখ্য সুন্দর জায়গা রয়েছে। তাই সিলেট ভ্রমণ গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে নিন।

যাই হোক আজ আমি সিলেটের কয়েকটি প্রধান দর্শনীয় স্থান নিয়ে আর্টিকেলটি লিখলাম। যে স্থান গুলো সব সময় পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আমি মনে করি যারা দেশকে ভালোবাসে না। দেশের প্রতি কোন জ্ঞান নেই, এমনকি ভ্রমণ ও করে না। সেক্ষেত্রেও এই স্থান গুলিতে একটিবারের জন্য হলেও তাদের ঘুরে আসা প্রয়োজন।

সিলেট ভ্রমন গাইড

কারণ দেশকে ভালোবাসতে হলে দেশের সব জায়গা পরিদর্শন করা সবাইর প্রযোজন। আমার আর্টিকেলটি লেখার উদ্দেশ্য হলো যাতে মানুষ সহজে ভ্রমণ করতে পারে। আর অত্যন্ত কম খরচে সুলভ মূল্যে ভ্রমণ করা যায়, সিলেটের এইসব পর্যটন স্থানগুলিতে।

তাহলে আর দেরি না করে সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন পড়ে ফেলুন। আজ আমার আর্টিকেলটি যে ভালো ভাবে পড়বে, সেই বুজতে পারবে সিলেট কেমন বিভাগ। পড়ার অবশ্যই আপনার সিলেট বিভাগে ঘুরতে ইচ্ছে করবে। তাহলে শুরু করা যাক।

যেভাবে সিলেট (Sylhet) যাবেন

সড়ক ও রেল পথে সহজেই সিলেট শহর যেতে পারবেন। এছাড়া নোয়াখালী থেকেও সহজেই বিভিন্ন বাসে সিলেট শহরে যাওয়া যায়। নোয়াখালী সোনাইমুড়ী, চৌমুহনী মাইজদী বিভিন্ন বাস স্টান থেকে সিলেটের বাস পাওয়া যায়। সিলেটের যে কোনো বাস স্টান থেকে জন প্রতি ৬০০ – ৮০০ টাকা বাড়া।

ঢাকা থেকে খুব সহজে যেতে পারবেন। গ্রিনলাইন, সোহাগ, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাসে করে সিলেট যেতে পারবেন। এদের টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়া  ঢাকার সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে যাওয়া যাবে। ( শ্যামলী, হানিফ, এনা, আল বারাকা, মামুন, সিলকম)। পরিবহনের নন এসি বাসে  ৪০০-৫৫০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যাবে সিলেট। সিলেট ভ্রমণ গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে নিন খুব সহজে।

সিলেট ট্রেনে করে যেভাবে যাবেন

এছাড়াও ট্রেনে করে ও খুব সহজে আরমে সিলেট যাওয়া যায়। নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থেকে ট্রেনে বা বাসে করে আপনাকে লাকসাম ট্রেন স্টেশন যেতে হবে। লাকসাম ট্রেন স্টেশন থেকে আপনি সিলেটে যাওয়ার ট্রেন পাবেন। ট্রিকেট জন প্রতি ৩৫০ থেকে ৪৫০ পর্যন্ত।

এছাড়া ও আমাদের চট্রগ্রাম বিভাগ রেল স্টেশন খুব সহজে সিলেট যাওয়া যায়। সোমবার ছাড়া সকাল ৮টায় সিলেটের উদ্দেশ্য  প্রতিদিন ছাড়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টায় যায় ছাড়ে উদয়ন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৯০ টাকা থেকে ১১৯১ টাকা । 

ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের কেবিন রয়েছে। আপনার পছন্দ মতো করে আপনি ট্রেনের টিকেট নিতে পারবেন। এমনকি আপনি চাইলে ও অনলাইনে সিলেটে যাওয়ার টিকেট নিতে পারবেন। অনলাইনে ট্রেনের ট্রিকেট জন প্রতি ৪০০- ৬০০ টাকা। আপনার পছন্দের কেবিন অনুযায়ী ট্রিকেট এর দাম নেওয়া হবে।

সিলেট দর্শনীয় স্থান

ভ্রমণ কারীর জন্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন। সিলেট বিখ্যাত সুন্দর স্থান সমূহ। সিলেটে অনেক অনেক সৌন্দর্য দেখার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। তাহলে শুরু করা যাক স্থান গুলোর নাম।


১. হযরত শাহজালালের দরগাহ
২. হযরত শাহপরাণ মাজার,
৩. মালনীছড়া চা।
৪. বাগান, জাফলং,
৫. বিছনাকান্দি,
৬. রাতারগুল, 
৭. লোভাছড়া।
৮. লালাখাল,

৯. পান্থুমাই ঝর্ণা, 
১০. সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা,
১১. ক্বীন ব্রিজ,
১২. আলী আমজাদের ঘড়ি,
১৩. হাকালুকি হাওর।
১৪. ভোলাগঞ্জ,
১৫. ড্রিমল্যান্ড পার্ক,
১৬. জাকারিয়া সিটি।
১৭. সাদা পাথর।

এই রকম আরো অনেক জায়গা রয়েছে সিলেট। নিচে কয়েকটি জাগার বর্ননা দেওয়া হলো। সিলেট বিভাগে আপনি কয়েকদিন থাকলে সব কিছু দেখতে পারবেন। না ছিনলে, সিনএনজি এবং রিকশার ড্রাইভার সব চিনে। তাদের জিজ্ঞেস করে যেতে পারবেন। আর দেরি না করে সিলেট ভ্রমণ গাইড লাইন সম্পর্কে জানুন।

হযরত শাহজালাল ( রাঃ) মাজার শরীফ

হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার

বিখ্যাত সিলেট বিভাগে রয়েছে
৩৬০ আউলিয়ার মাজার শরীফ। সিলেটের মাটিতে অনেক পীর আউলিয়া শাহিত আছেন, এদের মধ্যে হযরত শাহজালাল (রঃ) অন্যতম। আর এজন্য তাঁকে ওলিকুল শিরোমণি বলা হয়।

হযরত শাহ জালাল (রঃ) সকল ধর্মের মানুষের কাছে সমাদৃত ছিলেন। বছরের প্রায় সব মাসেই দেশের অনেক জায়গা থেকে লোকজন দেখতে আসে। প্রতি বছর হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার জিয়ারতে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ঢল দেখা করা যায়।

সিলেট থেকে কিভাবে মাজারে যাবেন

রেল স্টেশন অথবা কদমতলী বাস স্ট্যান্ড এ নেমে যাবেন। রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা। সিএনজি ভাড়া ৮০-১০০ টাকা। সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার এ পৌছাতে হয়। পর্যটকরা রিক্সা অথবা সিএনজি খুব সহজে যেতে পারবেন।

সিলেট শহরে থাকার আবাসিক হোটেল

১। হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে)। ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩,

২। হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট)। ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩।

৩। হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩।

৪। হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ০১৭১২০৯৩০৩৯।

আরো পড়ুনঃ এস এস তরুণ সংঘ সংগঠন দক্ষিণ শাকতলা

সিলেট চা বাগান

চা বাগান সিলেট

এই বিভাগটা পুরো টাই মনে হয় চা বাগানে ভরা। যে দিকে তাকাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আকা বাকা পাহাড়ি অঞ্চল ভরা চা বাগান। পাহাড়ের কিনার ঘেষে ছুটে গেছে আকাবাঁকা মেঠোপথ। কোন যান্ত্রিক দূষণ নেই। কোথাও আবার ধাবমান পথে ছুটে চলছে রূপালী ঝর্ণাধারা।

সিলেট মনে হয় প্রকৃতির মেলা। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এমন অন্তহীন সৌন্দর্যে একাকার হয়ে আছে সিলেটের চা বাগান। সিলেটের চা বাগানের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বব্যাপি।

দেশের মোট চায়ের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় সিলেটে। এজন্য সিলেটকে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশও বলা হয়। তাই ছুটির অবসরে কিংবা বিকালের সময়, বিনোদনের জন্য ছুটে যায় হাজারো তরুণ তরুণী।

তরুন তরুণীর সারাটা বিকাল চলে সবুজের ভেতর লুকোচুরি। আর হৈ হুল্লোড় এবং আনন্দে আত্মা হারা।

সিলেট কয়টি চা বাগান রয়েছে?

বাংলাদেশে প্রায় অনেক চা বাগান রয়েছে। সরকারী বইয়ের ভাষায় বাংলাদেশের মোট ১৬৩টি চা বাগান রয়েছে। তার মধ্যে ১৩৫টি রয়েছে বৃহত্তর সিলেটেই। বাকি ২৮ টি অন্যন্যা বিভাগে রয়েছে।

সিলেটের বিখ্যাত চা বাগান জেলা

এই বিখ্যাত স্থানের মধ্যে সিললেটের কয়েকটি জেলায় চা বাগান রয়েছে। জেলা গুলোর নাম হলো –
১. জৈন্তাপুর জেলা
২. কানাইঘাট জেলা
৩. গোয়াইনঘাট
৪. কোম্পানীগঞ্জ
৫. সিলেট
৬. সিলেট সদর

সিলেটের উল্লেখযোগ্য চা বাগান

এই বিভাগের সদর উপজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি চা বাগান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চা বাগান বাগান গুলো হলো।
১. মালনীছড়া চা বাগান,
২. লাক্কাতুরা চা বাগান
৩. তারাপুর চা বাগান,
৪. দলদলি চা বাগান
৫. খাদিম চা বাগান,
৬. বড়জান চা বাগান
৭. গুল্নি চা বাগান,

৮. আলী বাহার চা বাগান,
৯. হাবিব নগর চা বাগান,
১০. আহমদ টি এস্টেট,
১১. খান চা বাগান,
১২. লালাখাল টি এস্টেট,
১৩. শ্রীপুর চা বাগান,
১৪. মুলাগুল চা বাগান

মহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান

চা বাগান

সিলেট বিভাগের রয়েছে অনেক চা বাগান। তার মধ্যে অন্যতম বাগানটি উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগানটি। যা সিলেট সদর উপজেলায় রয়েছে। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যার নাম ‘মালনীছড়া চা বাগান।

মালনীছড়া এই চা বাগানটি দেখতে অনেক সুন্দর। ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে, ১৮৪৯ সালে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত করেন। মালনী ছড়া চা বাগানটি প্রায় ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে।

মালনী ছড়া চা বাগানটি, বর্তমানে পরিচলিত হচ্ছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে। ভ্রমন কারী মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন মালনী ছড়া চা বাগান। সবচেয়ে বেশি আনন্দ আর মজা করার স্থান হলো মালনীছড়া চা বাগান।

মালনীছড়া চা বাগান

এই জন্য বাংলাদেশ সহ, বিশ্বের অনেক দেশের লোক জন সিলেট ঘুরতে আসে। আর পর্যটকরা প্রথমেই ছুটে যান মালনীছড়ায় চা বাগান দেখার জন্য। মালনীছড়া চা বাগানের প্রবেশদ্বার বেশ কয়েকটি। আপনি চাইলে যে কোন একটি পথ দিয়েই, চা বাগান দর্শনের কাজ শুরু করতে পারেন।

মালনীছড়ার পাশেই রয়েছে আলী বাহার চা বাগান। ঘুরে আসতে পারেন ওখান থেকেও। মালনীছড়া আর লাক্কাতুরা চা বাগান পাওয়া যাবে একই যাত্রা পথে। ব্যবধান শুধু রাস্তার এপাশ ওপাশ।

চা বাগান

নগরীর চারদিকে আবাসিক এলাকায়। পেরুনোর পর গলফ ক্লাবের রাস্তা দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই, একবারেই চলে যাবেন বাগানের মধ্যিখানে। বাগানের এপাশ ওপাশ ঘুরে, গল্ফ ক্লাবের সুন্দরম টিলার উপরও হতে পারে আপনার আনন্দ আয়োজন।

গল্ফ ক্লাব মাঠ পেরিয়ে আরো একটু সামনে এগুলেই পেয়ে যাবেন সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম। চারপাশে চা বাগান আর মাঝখানে স্টেডিয়াম, সত্যিই অসাধারণ। এমন সবুজ প্রকৃতির ভেতর স্টেডিয়াম পৃথিবীতে সম্ভবত একটাই।

হয়তো কয়েক বছর পর এখানেই বসবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জমকালো আসর। যা দেখার জন্য সারাদেশে মানুষ ছুটে চলে আসবে।

চা বাগান স্টেডিয়ামের পাহাড়

সাদা পাথর ( Sada Pathor )

সিলেট সৌন্দর্যের দিক দিয়ে, জাফলং এবং বিছানাকান্দি বেশ পরিচিত জায়গা। তবে এরকমই আরেকটি সুন্দর জায়গা আছে যার নাম সাদা পাথর। তবে এটি ভোলাগঞ্জে অবস্থিত। এই জায়গাটি হুবুহু বিছানাকান্দির মতই।

কিন্তু পার্থক্য হলো একটাই এখানকার পাথর গুলো সাদা ও অনেক সুন্দর। এই পাথর গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। সাদা রংকের পাথর গুলো দেখার জন্য, প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ভিড় করে।

সাদা পাথর

সবাই সাদা পাথরের সমারোহের কারণেই, ভোলা গঞ্জের এই জায়গাটির নাম হয়ে গিয়েছে সাদা পাথর। এখন সিলেট সাদা পাথর বললে চলে, সবাই চিনে থাকে।

সিলেট থেকে সাদা পাথরের দূরত্ব  মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। এখানে এসে আপনি অবাক হয়ে যাবেন এবং বুজতে পারবেন না যে এটা সিলেট। কারন এ অদ্ভুত এক সাদা পাথরের  পৃথিবীতে আপনি এসেছেন।

সাদা পাথর কি কি দেখবেন?

Sada pahthor নামক জাগায় অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু দেখতে পারবেন। যা হয়তো আপনার জীবনে ও দেখেন নাই। সেখানে দেখতে পাবেন একটি নদী, যার নাম ধোলাই। ধোলাই নদীতে অনেক চমৎকার এবং সুন্দর।

আরো দেখতে পারবেন, পাথর তোলার কাজে নিয়জিত অসংখ্য  নৌকা। ভয়ঙ্কর সুন্দর  এই জায়গাটিতে পাবেন  সারি সারি সবুজ পাহাড়। দেখবেন কি করে  পাহাড় থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে  স্বচ্ছ ঠাণ্ডা পানি।



ভ্রমণ কারীরা এই ঠান্ডা পানিতে এসে গোসল করে। অনেক মজা আর হৈচৈ করে বেড়াই। অনেকে গোসল করে ভ্রমণের সকল ক্লান্তি অবসাদ দূর করেন।

সেখানকার অনেক লোক বলে থাকেন। ভারত থেকে বন্যার তোড়ে ভেসে আসা  প্রচুর পাথর এখানে জমা হয়। এখানকার পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও দেখাটাও আনন্দময় অভিজ্ঞতা।

সাদা পাথর সিলেট

সাদা পাথর কিভাবে যাবেন?

এই white pahthor যেতে হলে, প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে সিলেট ভোলাগঞ্জ। সিলেট থেকে আপনি ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন বাস এবং সিএনজি দিয়ে। বিআরটিসি বাসে মাত্র পঞ্চাশ টাকায় ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন।

আর লোকাল সিএনজিতে করে যেতে চাইলে আপনার খরচ হবে জনপ্রতি একশত টাকার মত। ভোলাগঞ্জ বাজারে আপনার সিএনজি নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে আপনাকে যেতে হবে দশ নম্বর নৌকা ঘাটে।

নৌকা ঘাট থেকে আপনি আটশ টাকার মধ্যে নৌকা ভাড়া নিয়ে নিতে পারবেন। এই নৌকা আপনাকে সাদা পাথর নিয়ে যাবে আবার আপনার ভোলাগঞ্জে ফেরতও নিয়ে আসবে।

রাতারগুল ( Ratargul )

রাতার গুল সিলেট

সিলেট রাতারগুল এমন একটি জায়গা, আপনি নিজের চোখে না দেকলে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। এ পর্যটন ভূমি সিলেটেই রয়েছে এরকমই একটি জলাভূমি।

আর এই জলাভূমির নাম রাতারগুল। সিলেট জেলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইন ঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এ জলাভূমি যা বাংলাদেশের একমাত্র “সোয়াম্প ফরেস্ট” হিসাবে পরিচিত।

এই এই জলাভূমি প্রায় ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এর মাঝে ৫০৪ একর জায়গায় আছে বন এবং বাকি জায়গা গুলিতে আছে ছোট বড় বেশকিছু জলাশয়। বর্ষার সময় এই জলা বনটি এক অদ্ভুত সৌন্দর্য ধারণ করে।

রাতারগুল কি কি দেখবেন?

মূলত বর্ষার সময়েই রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এখানকার  সিংহভাগ গাছই  বছরে চার থেকে সাত মাস থাকে পানির নিচে থাকে। যা পরিষ্কার পানির নিচে সকল গাছ খুব সুন্দর করে দেখা যায়। সেখানে প্রাকৃতিক সাধারণ গাছপালা অনেক রয়েছে।


এই বনে দেখা যায় নানা রকম পাখি। যেমন – সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি। আরো আছে পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতকালে আসে  বালিহাঁস জাতীয় কিছু শীতের পাখি। আরো কিছু জানতে সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন জেনে

রাতারগুল সিলেট

পরিষ্কার  পানির নিচে দেখা যায় গাছপালা, এ দৃশ্য দেখতে বর্ষার সময় বহু পর্যটক ভিড় করেন। অন্য দিকে শীতের সময়  আরেক রূপ দেখা যায় এ বনের। পানি নেমে গেলেই দৃশ্যমান হয়  মূর্তা ও জালি বেতের বাগান।

রাতারগুল যেভাবে যাবেন

এই সৌন্দর্য স্থানে যেতে হলে সিলেট রেল স্টেশন বা বাস স্টেশন যেতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি ঠিক করবেন। গোয়াইন ঘাট বাজার পর্যন্ত যাবেন। সময় লাগবে ২ থেকে ২ :৩০ ঘন্টা ।ভাড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।গোয়াইনঘাট বাজার থেকে ২০-৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় পৌঁছাবেন ঘাটে।

ঘাটে গিয়ে দেখবেন অনেক লোক ট্রলার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সুন্দর করে কথা বলে কত টাকা যাবে, ট্রলার ঠিক করবেন। কারন ঐ খানে ট্রলার ভাড়া নিয়ে ওরা সিটিং বাজি করে, বেশি টাকা নিয়ে যায়।

তারপর রাতারগুল হয়ে সালুটিকর ঘাট পর্যন্ত। এইসব ট্রলারে করে রাতারগুল যেতে, আপনার  সময় লাগবে ১.৩০ – ১.৪৫ ঘণ্টা। সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে রাখুন।

রাতারগুল সহজে যেভাবে যাবেন

Ratargul স্থানে বিটে নেমে একটা ডিঙ্গি নৌকা ঠিক করবেন। বন ঘুরে দেখার জন্য। সময় লাগবে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা । ডিঙ্গির মাঝিদের  মর্জির অনুযায়ী  ভাড়া ৩০০- ৩৫০ টাকা হতে পারে।

যেভাবে গিয়েছেন, ঠিক ঐ ভাবে আপনার ভ্রমণ শেষে পিরে আসতে পারবেন। তবে সাবধান ঐখানের ট্রলাররা অনেক চালাক। আপনার কাছ থেকে অনেক মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়ে যাবে। তাদের একটু ও মায়া লাগবে না। সিলেট ভ্রমন গাইড লাইন সম্পর্কে জানুন।

সর্বশেষ কথা হলো

বাংলাদেশর মধ্যে খুব সুন্দর জায়গার মধ্যে সিলেট বিভাগ অন্যতম। তাই সিলেট গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে নিন। আর আপনার প্রিয় জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন আর আনন্দে মেতে উঠুন।

যাই হোক যদি আমার এই আর্টিকেল আপনার ভালো লাগে। তাহলে কমমেন্ড করে জানাবেন। আর আমাদের সাইটের সাথে থাকুন, আশা করি আপনার ভালো লাগবে। দেশের আরো ভ্রমণ গাইড লাইন নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ।

Leave a Comment